গনিতের মধ্যে কয়েকটি মৌলিক ক্রিয়ার মধ্যে গুণ হলো একটি। বিশেষ করে গনিতের মধ্যে মোট ৪ টি ক্রিয়া রয়েছে। যা যথাক্রমে – যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ। গনিতের ক্ষেত্রে গুণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গুনের মাধ্যমে গনিতের বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সমাধান করা হয়।
আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে জানবো গুণক কাকে বলে। আমরা অনেকেই গুনের অংক গুলো সমাধান করার প্রক্রিয়া জানলেও গুন্য, গুণক ইত্যাদি সম্পর্কে সংজ্ঞা সম্পর্কে অবগত নই। এ ছাড়াও গুণক নির্ণয়ের সূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন।
গুণক কাকে বলে

গুনের ক্ষেত্রে গুণক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। গুণক এর মাধ্যমে আমরা গুণফল বের করতে পারি। যে সংখ্যা দ্বারা অন্য একটি সংখ্যাকে গুণ করা হয় তাকে গুণক বলা হয়। অর্থ্যাৎ আমরা যদি কোনো একটি সংখ্যার গুণফল বের করতে চাই তবে যে সংখ্যা টি দ্বারা গুণ করবো উক্ত সংখ্যাটি কে মূলত গুণক বলা হয়।
এক কথায় বলতে গেলে, কোনো সংখ্যাকে অন্য একটি সংখ্যার গুনের উপাদান কে গুণক বলা হয়। যদি উদাহরণ দেই তবে বলা যায় –
(3 x 4 = 12) এখানে ৩ সংখ্যাটি কে আমরা ৪ দ্বারা গুণ করেছি। এখানে ৪ হলো গুণক। অর্থ্যাৎ ৩ সংখ্যাকে যেহেতু আমরা ৪ দ্বারা গুণ করেছি। তাই ৪ হবে এখানে আমাদের গুণক। নিচে আরো একটি উদাহরণ দেখে নিন –
5 x 6 = 30
আপনি নিশ্চিত ভাবেই বুঝে ফেলেছেন এখানে ৬ সংখ্যাটি হলো মূলত গুণক। কারন ৫ সংখ্যাটি কে আমরা ৬ দ্বারা গুণ করেছি। আশা করি আপনারা খুব সহজ ভাবেই গুণক কাকে বলে সেটা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
গুনের অংশ ও সংজ্ঞা
আমরা গুণক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনেছি। তবে গুনের মধ্যে মোট ০৪ টি অংশ থাকে। যেগুলো সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো হলো:
- গুণ্য
- গুণক
- গুণফল
১. গুণ্য কি ও কাকে বলে
গুণ করার ক্ষেত্রে গুণ্য একটি অংশ। সাধারণত গুণ্য সেই সংখ্যা কে বলা হয় যে সংখ্যার গুণ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় –
৫ X ৪ = ২০
এখানে ৫ সংখ্যা গুণ করা হয়েছে ৪ দিয়ে। তাই এখানে ৫ সংখ্যাটি হলো গুণ্য।
২. গুণক কি ও কাকে বলে
গুণক সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই উপরে আলোচনা করেছি। গুণক হলো সেই সংখ্যা যা দ্বারা গুণ করা হয়। উদাহরণ –
৫ x ৭ = ৩৫
এখানে ৭ সংখার দ্বারা ৫ সংখ্যাটি গুণ করা হয়েছে তাই ৭ হলো গুণনিয়ক।
৩. গুণফল কি ও কাকে বলে
গুন্য ও গুণকের মাধ্যমে গুণ করার মাধ্যমে প্রাপ্ত যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে গুণফল বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় –
৩ x ৪ = ১২
এখানে ১২ সংখ্যাটি হলো গুণফল। পর্যায়ক্রমে ৩ হলো গুন্য ও ৪ হলো গুণক।
গুণকের সূত্র
গুণকের অনেক ভাবে বের করা যায়। গুণক বের করার কিছু সূত্র রয়েছে যেগুলো আমরা নিচে উদাহরণস্বরুপ দিয়ে দিলাম –
১। কোনো একটি সংখ্যার গুণক বের করার ক্ষেত্রে এই সূত্রটি ব্যবহার করা হয় b=a×k, তাহলে a এবং k উভয়ই b এর গুণক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় –
১২ সংখার গুণকগুলি যথাক্রমে ১, ২, ৩, ৪ , ৬, ১২। যেমন –
1 x 12 = 12
2 x 6 = 12
3 x 4 = 12
২। যে কোনো একটি সংখ্যার গুণক বের করার জন্য উক্ত সংখ্যাটি কে ১ থেকে শুরু করে সংখ্যাটির বর্গমূল পর্যন্ত ভাগ করার মধ্যমে যে সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য হবে সেটাই মূলত উক্ত সংখ্যার গুণক হিসেবে ধরা হবে। উদাহরণস্বরুপ আমরা ১৬ সংখ্যাটির গুণক বের বের কিভাবে করব?
16 ÷ 1 = 16
16 ÷ 2 = 8
16 ÷ 4 = 4
আমাদের ১৬ সংখাটি নিঃশেষে বিভাজ্য হয়েছে। অর্থ্যাৎ ১৬ এর গুণক হলো পর্যায়ক্রমে – 1, 2, 4, 8, 16।
৩। মৌলিক সংখ্যার ক্ষেত্রে যদি আমরা ৭ কে ধরি তবে ৭ এর গুণক হবে ১ ও ৭। তবে যৌগিক সংখ্যা যদি ১২ ধরি তবে ১২ সংখ্যার গুণক হবে – ১, ২, ৪, ৬, ১২।
গুণকের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
গুণকের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় কে আমাদের মনে রাখতে হবে। যেগুলো মনে রাখলে গুণক নির্নয় করা ও গুণকের সাহায্যে গুণ করার পদ্ধতি অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠবে। যেগুলো হলো:
- মৌলিক সংখ্যার ক্ষেত্রে দুটি গুণক থাকে ১ এবং উক্ত সংখ্যাটি।
- গসাগু বের করার ক্ষেত্রে সংখ্যাগুলোর গুণকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি হলো গসাগু।
- লসাগুর ক্ষেত্রে গসাগুর বিপরিত ধারা প্রয়োগ হবে। অর্থ্যাৎ সংখ্যাগুলোর সবচেয়ে ছোট গুনিতক হলো লসাগু।
- মৌলিক সংখ্যার ক্ষেত্রে যদিও দুটি গুণক থাকে তবে যৌগিক সংখ্যার ক্ষেত্রে একাধিক গুণক থাকে।
- সংখ্যাটি যত বড় বা ছোট হোক না কেন। প্রতিটি সংখ্যার ক্ষেত্রে দুটো গুণক থাকে। উক্ত সংখ্যাটি এবং ১
📌 আরো পড়ুন 👇
গুণক সম্পর্কে আমাদের মতামত
গুণক কাকে বলে ও গুণকের সূত্র আর্টিকেলে আমরা জানলাম গুণক সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার গুণক সম্পর্কে যদি আরো কিছু জানার থাকে তবে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।