প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে প্রাকৃতিক পরিবেশের যেমন ভূমিকা রয়েছে ঠিক একইভাবে সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা সমান ভাবে রয়েছে। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব সেহেতু সমাজের একটা বড় প্রভাব মানুষের উপর সর্বদা প্রভাব বিস্তার করে। একটি শিশু সামাজিক জীব হিসেবে একটি পরিবারে জন্ম নিয়ে থাকে। তার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত প্রত্যেকটি পর্যায়ে সামাজিক পরিবেশের অপরিসীম প্রভাব রয়েছে।
শিশু আশেপাশের যে সামাজিক পরিবেশ দেখে বড় হতে থাকে ঠিক তার প্রভাব শিশুর উপর চূড়ান্ত বয়স পর্যন্ত বিস্তার করে থাকে। তাই শিশু জন্মের পর বাবা-মায়ের প্রধান দায়িত্ব হল শিশু জাতি সামাজিকীকরণ শেখে এবং সামাজিক পরিবেশ থেকে সঠিক শিক্ষা অর্জন করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকের আর্টিকেলে আমরা সামাজিক পরিবেশ কাকে বলে? সামাজিক পরিবেশের উপাদান গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সামাজিক পরিবেশ কাকে বলে
সামাজিক পরিবেশ বলতে বোঝায় মানুষের তৈরি করা সেই পারিপার্শ্বিক অবস্থা যা মানুষের জীবনযাত্রা, আচার আচরণ, এবং মানসিক বিকাশের ওপর সরাসরি প্রভাব বিস্তার করে। সামাজিক পরিবেশ তৈরি হয় সমাজের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপাদান গুলো হল: সংস্কৃতি, রীতিনীতি, মূল্যবোধ, আইন কানুন, প্রতিষ্ঠান এবং মানুষের পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক। খুব সহজভাবে বলতে গেলে, সামাজিক পরিবেশ বলতে বোঝায় একজন মানুষের চারপাশে থাকা সকল ধরনের সামাজিক উপাদান কে।
সামাজিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে: বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ক্লাব, পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একটা মানুষের ভিতরে মানবিক মূল্যবোধ তৈরি হয় মূলত সামাজিক পরিবেশ থেকেই। একটি শিশুর সামাজিক পরিবেশের উপাদান গুলো যখন ঠিক হয় তখন তার মানবিক মূল্যবোধ অন্যদের চেয়ে সুদৃঢ় হয়। বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন সময়ে সামাজিক পরিবেশের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিচে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
- কার্ল মার্ক্স (Karl Marx) বলেন- মানুষের সামাজিক পরিবেশ তার অর্থনৈতিক অবস্থার দ্বারা নির্ধারিত হয়। তিনি সমাজের শ্রেণী বিভক্ত কাঠামো এবং উৎপাদনের উপায়গুলোর উপর জোর দিয়েছেন।
- এমিল ডুর্খেইম (Emile Durkheim) বলেন-
- সমাজের সদস্যরা যখন একই মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং রীতিনীতি দ্বারা আবদ্ধ থাকে, তখনই সামাজিক সংহতি তৈরি হয়।
- ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) বলেন- সমাজের ক্ষমতা, মর্যাদা এবং সম্পদের বণ্টনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্তর তৈরি হয়। ওয়েবার আরও বলেছেন যে, সামাজিক পরিবেশ মানুষের আচরণ এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোকে প্রভাবিত করে।
- তালকোট পার্সনস (Talcott Parsons) বলেন- সমাজের বিভিন্ন অংশ একে অপরের সাথে জড়িত এবং প্রতিটি অংশের নিজস্ব কাজ আছে। পার্সনস আরও বলেছেন যে, সামাজিক পরিবেশ মানুষের ভূমিকা এবং প্রত্যাশাগুলোকে নির্ধারণ করে।
- রবার্ট মার্টন (Robert Merton) বলেন- যখন সমাজের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়, তখন সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মার্টন আরও বলেছেন যে, সামাজিক পরিবেশ মানুষের মধ্যে বিচ্যুত আচরণকে উৎসাহিত করতে পারে।
সামাজিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
সামাজিক পরিবেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিচে সেগুলো ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো:
১. গতিশীলতা
সামাজিক পরিবেশ সর্বদা পরিবর্তনশীল। সমাজের মূল্যবোধ, রীতিনীতি, প্রযুক্তি এবং মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তনগুলি সামাজিক পরিবেশের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২. জটিলতা
সামাজিক পরিবেশ বিভিন্ন উপাদান দ্বারা গঠিত, যেমন – মানুষ, প্রতিষ্ঠান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি। এই উপাদানগুলির মধ্যেকার সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল এবং একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
৩. আপেক্ষিকতা
সামাজিক পরিবেশ স্থান, কাল এবং সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি শহরের সামাজিক পরিবেশ গ্রামের পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে।
৪. মিথস্ক্রিয়া
সামাজিক পরিবেশের উপাদানগুলি একে অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে। মানুষের আচরণ, চিন্তা এবং অনুভূতি একে অপরের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই মিথস্ক্রিয়া সামাজিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
৫. প্রভাব
সামাজিক পরিবেশ মানুষের জীবনযাত্রাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজ, বিনোদন এবং এমনকি তাদের চিন্তাভাবনাও সামাজিক পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়।
৬. নিয়ন্ত্রণ
সামাজিক পরিবেশ মানুষের আচরণকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সমাজের নিয়মকানুন, আইন এবং রীতিনীতি মানুষের উপর কিছু বাধ্যবাধকতা তৈরি করে।
৭. সংস্কৃতি
সামাজিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ভাষা, পোশাক এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
৮. সামাজিক প্রতিষ্ঠান
সামাজিক পরিবেশ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা গঠিত, যেমন – পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠানগুলি সমাজের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে।
৯. স্তরবিন্যাস
অনেক সমাজে সামাজিক স্তরবিন্যাস দেখা যায়। এই স্তরবিন্যাস মানুষের মর্যাদা, ক্ষমতা এবং সুযোগ-সুবিধার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
১০. সংঘাত ও সহযোগিতা
সামাজিক পরিবেশে সংঘাত ও সহযোগিতা উভয়ই দেখা যায়। বিভিন্ন স্বার্থের সংঘাতের কারণে সমাজে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে, আবার সমাজের উন্নতির জন্য মানুষ একসাথে কাজও করে।
সামাজিক পরিবেশের উপাদান গুলো কি কি
সামাজিক পরিবেশের উপাদান গুলোকে মূলত দুইটি ভাবে ভাগ করা হয়ে থাকে। সেগুলো হল:
- বস্তুগত উপাদান,
- অবস্তুগত উপাদান।
নিচে সামাজিক পরিবেশের এই দুইটি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১। বস্তুগত উপাদান
বস্তুগত উপাদান বলতে সেই সমস্ত উপাদান কে বোঝায় যা আমরা স্পর্শ করতে পারি এবং চোখে দেখতে পারি। বস্তুগত উপাদান মানুষের তৈরি হতে পারে আবার প্রাকৃতিক ভাবেও তৈরি হতে পারে। বস্তুগত উপাদানকের কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে। প্রত্যেকটি সমাজের জন্য বস্তুগত উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:
- ভৌত অবকাঠামো: ভৌত অবকাঠামো এর মধ্যে রাস্তাঘাট, ভবন, সেতু, পার্ক, খেলার মাঠ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এগুলো মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং সুযোগ-সুবিধাগুলোকে প্রভাবিত করে।
- প্রযুক্তি: প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি, কাজ করার ধরণ এবং যোগাযোগের মাধ্যমকে পরিবর্তন করে। প্রযুক্তি মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, যানবাহন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। প্রত্যেকটি সমাজের জন্য প্রযুক্তি একটি বস্তুগত উপাদান।
- অর্থনৈতিক সম্পদ: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। এবং এগুলো যে কোন সমাজের জন্য অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এগুলো সামাজিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২। অ-বস্তুগত উপাদান
আমাদের চারপাশে যেসব উপাদান রয়েছে যেগুলো আমরা স্পর্শ করতে পারিনা শুধুমাত্র অনুভব করতে পারি তাকে অবস্তুগত উপাদান বলে। অ বস্তুগত উপাদান আমাদের সমাজের সংস্কৃতির অংশ। বস্তুগত উপাদানের পাশাপাশি যে কোন সমাজের জন্য অবস্তগত উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। অবস্তুগত উপাদানের মধ্যে রয়েছে:
- সংস্কৃতি: মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, রীতিনীতি, ভাষা, পোশাক, খাদ্য এবং শিল্পকলা সবকিছুই সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতি মানুষের আচরণ এবং পরিচয়কে প্রভাবিত করে।
- সামাজিক প্রতিষ্ঠান: পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং আইন- এগুলো সমাজের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে এবং মানুষের জীবনে একটি কাঠামো তৈরি করে।
- সামাজিক সম্পর্ক: মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক, যেমন – বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা, প্রতিবেশী এবং বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই সম্পর্কগুলো মানুষের সামাজিক জীবন এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
- মূল্যবোধ ও আদর্শ: সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধ, যেমন – ন্যায়বিচার, সততা, সহমর্মিতা এবং দেশপ্রেম মানুষের আচরণকে দিকনির্দেশনা দেয়।
- আইন ও নিয়মকানুন: সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আইন ও নিয়মকানুন তৈরি করা হয়। এগুলো মানুষের অধিকার এবং দায়িত্বগুলোকে নির্ধারণ করে।
এই উপাদানগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত এবং একটি অন্যটির উপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তির উন্নয়ন সামাজিক সম্পর্কের ধরণকে পরিবর্তন করতে পারে, আবার সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করতে পারে।
শিশুর জীবন বিকাশে সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা
শিশুর জীবন বিকাশের একদম জন্ম লগ্ন থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা অপরিসীম। নিচে শিশুর জীবন বিকাশের সামাজিক পরিবেশের ভূমিকা তুলে ধরা হলো:
- ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি: শিশুরা তাদের চারপাশের মানুষের কাছ থেকে ভাষা শিখতে শুরু করে। পরিবার এবং সমাজের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পায় এবং তারা কথা বলতে ও নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করতে শেখে।
- সামাজিক সম্পর্ক তৈরি: শিশুরা খেলাধুলা এবং অন্যান্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্যদের সাথে মিশতে শেখে। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, সহমর্মিতা এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়।
- মানসিক বিকাশ: একটি সহযোগিতা পূর্ণ সামাজিক পরিবেশ শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। যখন শিশুরা নিরাপদ পরিবেশে থাকে, তখন তাদের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়। তারা নতুন জিনিস শিখতে ও নিজেদের আবেগ প্রকাশ করতে উৎসাহিত হয়।
- নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ: শিশুরা তাদের পরিবার এবং সমাজের কাছ থেকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে ধারণা পায়। তারা সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ ও রীতিনীতি সম্পর্কে অবগত হয় এবং সে অনুযায়ী আচরণ করতে শেখে।
- সাংস্কৃতিক পরিচয়: সামাজিক পরিবেশ শিশুদের তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। তারা তাদের সমাজের ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, উৎসব এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপাদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
- ব্যক্তিত্বের বিকাশ: প্রতিটি শিশুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। সামাজিক পরিবেশ তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে। শিশুরা অন্যদের সাথে তুলনা করে নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তোলে।
একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক সামাজিক পরিবেশ শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য অপরিহার্য। পরিবার, বিদ্যালয় এবং সমাজের সকল সদস্যের উচিত শিশুদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে তারা নিরাপদে বেড়ে উঠতে পারে এবং তাদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে।
সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর
১)১০ টি সামাজিক মূল্যবোধ কি কি?
উঃ ১০ টি সামাজিক মূল্যবোধ হল:
- ন্যায়পরায়ণতা,
- সহনশীলতা,
- সহমর্মিতাবোধ,
- দানশীলতা,
- শ্রমের মর্যাদা,
- শৃঙ্খলাবোধ,
- সৌজন্যবোধ,
- সুকুমার বৃত্তি,
- বড়দের সম্মান করা,
- শিষ্টাচার।
২)সামাজিক কাঠামোর উপাদান কয়টি ও কি কি?
উঃ সামাজিক কাঠামোর উপাদান গুলো হল: পরিবার, ধর্ম, আইন, অর্থনীতি এবং শ্রেণী।
৩)সামাজিক পরিবেশের প্রধান উপাদান কি কি?
উঃ সামাজিক পরিবেশের প্রধান উপাদান গুলো হল: মানুষের বসতি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি, বাঁধ। মূলত সমাজে যা কিছু কল্যাণকর এবং হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় তা সবই সামাজিক পরিবেশের উপাদান।
📌 আরো পড়ুন 👇
সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের মতামত
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের জন্য সামাজিক পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক পরিবেশ ব্যতীত একটি শিশু জন্ম লগ্ন থেকে কোনভাবে মানবিক মূল্যবোধ অর্জন করতে পারে না। আজকের আইটে গেলে আমরা সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সামাজিক পরিবেশ সম্পর্কে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।