সংস্কৃতি কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

শেয়ার করুন

সমাজের সবচেয়ে প্রাচীন ধারণা হলো সংস্কৃতি। মানব জীবনের জীবনযাত্রার দিক নির্দেশনা প্রদান করে সংস্কৃতি। সংস্কৃতির বাংলা অন্য প্রতিশব্দ হলো কৃষ্টি, যা মানুষ সমাজের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পৃথিবীর প্রত্যেকটি সমাজে কোন না কোন ভাবে সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব দেশে বা নিজস্ব সমাজে যে নিয়ম নীতি বা রীতিনীতির প্রচলন থাকে তা ওই দেশের সংস্কৃতি। একটা সমাজের গতিপ্রকৃতি পূর্বে কি ধরনের ছিল এবং বর্তমানে কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে তা সহজেই নির্ধারণ করা যায় সংস্কৃতি পর্যালোচনার মাধ্যমে।

এক কথায়, সমাজের মানুষের জীবনযাপনের মানকে সূচিত করে সংস্কৃতি। বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতি রয়েছে যা জাতীয় পরিচয় এর প্রতিক। বাউল গান, পিঠা উৎসব, নকশীকাঁথা এবং পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মতো ঐতিহ্যবাহী উপাদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ফুটে ওঠে। আজকের আর্টিকেলে আমরা সংস্কৃতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি এ নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

সংস্কৃতি কাকে বলে

সংস্কৃতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি

সংস্কৃতি শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Culture, এটি একটি ল্যাটিন শব্দ যা উদ্ভূত হয়েছে কুলটুস শব্দটি থেকে। “কুলটুস” শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো চাষ করা বা পরিচর্যা করা। মানব সমাজে সংস্কৃতি বলতে এমন সব উপাদান কে বোঝায় যা মানুষের সামাজিক, ধর্মীয় এবং দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সংস্কৃতির সাধারণ সংজ্ঞা হলো, সংস্কৃতি হলো মানুষের আচরণ, বিশ্বাস, মূল্যবোধ, এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি একসাথে মিলেমিশে যে রূপ তৈরি হয় তার সমষ্টি। 

অপরদিকে, বৈজ্ঞানিকভাবে সংস্কৃতির ব্যাখ্যা হল, একটি সবদের সদস্য দ্বারা অর্জিত হয় এমন জ্ঞান, বিশ্বাস, শিল্পকলা, নৈতিকতা, আইন এবং রীতির সমন্বয় কে সংস্কৃতি বলা হয়ে থাকে। সাধারণ এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বিশ্লেষণ করলে সংস্কৃতি বলতে বোঝায়: মানুষের জীবনধারা, আচার-অনুষ্ঠান, ভাষা, ধর্ম, শিল্পকলা এবং সামাজিক মূল্যবোধের এক সম্মিলিত প্রকাশ। মানব জীবনের প্রতিটি স্তরে গভীর প্রভাব ফেলে সংস্কৃতি যা সমাজকে সংহত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভিন্ন গুণী ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিচে কিছু সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো: 

  • সমাজবিদ ওটওয়ে বলেছেন: সমাজের সামগ্রিক জীবনধারা সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। 
  • সমাজবিদ বোগার্ডাস বলেন: একটি দেশের সংস্কৃতি সে দেশের রাজনীতি, ঐতিহ্য এবং বর্তমান আচরণের নির্দেশনা গুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়।
  • ম্যাথো আর্নল্ড বলেন: একটি দেশের সংস্কৃতি সে দেশের পরিপূর্ণতা।
  • শিক্ষাবিদ মেকেনজি বলেন: সংস্কৃতি হল শিক্ষা জীবনের চরম লক্ষ্য যার প্রস্তুতি সাধিত হয় সংস্কৃতির আধ্যাত্মিক প্রকৃতির বিকাশ সাধনের মাধ্যমে। সংস্কৃতি হল পুরোপুরি ভাবে হীরার দ্যুতি বা আলো।

সংস্কৃতি কত প্রকার ও কি কি

যেকোনো দেশের বা সমাজের সংস্কৃতিকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা:

  • বস্তুগত সংস্কৃতি, 
  • অবস্তুগত সংস্কৃতি।

নিচে এই দুই প্রকার সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 

বস্তুগত সংস্কৃতি কাকে বলে

সংস্কৃতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি

বস্তুগত সংস্কৃতি হলো সেইসব ভৌত বস্তু ও জিনিসপত্র যা একটি সমাজের মানুষ তৈরি করে এবং ব্যবহার করে। এই বস্তুগুলো মানুষের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ, শিল্পকলা, স্থাপত্য, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিফলন ঘটায়। বস্তুগত সংস্কৃতি একটি সমাজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ এবং জীবনযাত্রার পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। বস্তুগত সংস্কৃতির কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে। নিচে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: 

১. শিল্প ও কারুশিল্প

মানুষের তৈরি বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম যেমন – চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প, বস্ত্রশিল্প, অলংকার ইত্যাদি বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

২. স্থাপত্য

মানুষের নিজস্ব প্রয়োজনে তৈরি ঘরবাড়ি, মন্দির, মসজিদ, গির্জা, প্রাসাদ, দুর্গ, স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি যা মানুষের দ্বারাই তৈরি হয়ে থাকে তা বস্তুগত সংস্কৃতি।

৩. প্রযুক্তি

মানুষের জীবনযাত্রার মানকে প্রতিনিয়ত উন্নত করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির লক্ষ্যে মানুষ প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেছে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি, হাতিয়ার, যানবাহন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদি। যা সবগুলোয় বস্তুগত প্রযুক্তির অংশ।

৪. পোশাক ও অলংকার

মানুষের বেঁচে থাকার তাগিদে পোশাক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। এইসব পোশাক বা পরিধানের বস্ত্র, অলংকার, টুপি, জুতা ইত্যাদি মানুষ তাদের নিজস্ব প্রয়োজনের খাতিরে তৈরি করে চলেছে যা বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ। অপরদিকে নিজেকে সজ্জিত করার জন্য মানুষ যেসব অলংকার তৈরি করে সেগুলোও অধ্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

৫. খাদ্য ও পানীয়

মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম মৌলিক উপাদান হলো খাদ্য এবং পানীয়। যা ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা একদিনও সম্ভব নয়। খাদ্য এবং পানি ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা প্রকৃতি থেকেই পেয়ে থাকি যা বস্তুগত সংস্কৃতির উপাদান। খাদ্য এবং পানীয় এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যসামগ্রী, পানীয়, রান্নার সরঞ্জাম, থালা-বাসন ইত্যাদি।

৬. দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস

দৈনন্দিন ব্যবহার্য সবগুলো জিনিস যেমন: আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, খেলনা, বই, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি সবই বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেসব মৌলিক উপাদান গুলো রয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের জন্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস প্রয়োজন‌। তাই দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিস পরোক্ষভাবে বস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

অবস্তুগত সংস্কৃতি কাকে বলে

সংস্কৃতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি

যে সকল সংস্কৃতি স্পর্শ করা যায় না, কেবল অনুভব করা যায় তাকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলে। মানুষের জ্ঞান, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, রীতিনীতি, ভাষা, সাহিত্য, সংগীত, শিল্পকলা, দর্শন, ধর্ম, মূল্যবোধ, আইন, প্রথা, ঐতিহ্য ইত্যাদি সবই অবস্তুগত সংস্কৃতির উদাহরণ। এই উপাদানগুলো মানুষের জীবনযাত্রা ও সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অবস্তগত সংস্কৃতির কিছু উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো: 

১. ভাষা

ভাষার মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে ভাবের আদান-প্রদান করে। ভাষা মানুষের কোন মৌলিক উপাদান নয় কিন্তু মানুষের মনের কথা অপরকে জানানোর জন্য ভাষা একটি অন্যতম মাধ্যম। যেহেতু ভাষায় এমন এক সংস্কৃতি স্পর্শ করা যায় না তাই এটি অবস্তুগত সংস্কৃতি অংশ।

২. সাহিত্য

সাহিত্য সমাজের দর্পণ স্বরূপ, যা মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। সাহিত্যের মাধ্যমে কোন দেশের পূর্বের রীতি নীতি থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে অবধি চলে আসা বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সাহিত্যের মাধ্যমে একটি জাতির শিকড় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সাহিত্য সরাসরি ভাবে অবস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

৩. সংগীত

সংগীত মানুষের মনকে আনন্দিত করে এবং সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। সমাজে প্রচুর মানুষ হয়েছে যারা সঙ্গীতের মাধ্যমে বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পায়। সাহিত্যের মতো সংগীত সরাসরি ভাবে অবুঝস্তগত সংস্কৃতির অংশ।

৪. শিল্পকলা

শিল্পকলা মানুষের সৃজনশীলতার প্রকাশ, যা সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিল্পকলার মাধ্যমে মানুষ সংস্কৃতি বিভিন্ন উপাদানকে তুলে ধরতে চায় অন্য জাতির কাছে। শিল্পকলা যেকোনো জাতির মূল্যবোধ প্রকাশ করতে ও সাহায্য করে। সাহিত্য এবং সংগীতের মতো শিল্পকলা অবস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

৫. ধর্ম

ধর্ম মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা সমাজকে প্রভাবিত করে। ধর্মের অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলতে শেখে। এছাড়া ধর্মের মানুষ নৈতিক অনুশীলনের অভ্যাস গড়ে তোলে। প্রত্যেকটি ধর্ম মানুষকে সৎ এবং নীতিবান হতে শেখায়। ধর্ম পরোক্ষভাবে অবস্তগত সংস্কৃতির অংশ।

৬. মূল্যবোধ

মূল্যবোধ মানুষের আচরণ ও নৈতিকতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ ভালো কাজকে হ্যাঁ বলে আর খারাপ কাজকে না বলার সাহস অর্জন করে। মূল্যবোধের মাধ্যমে মানুষ সমাজের যেকোনো খারাপ কাজ করা থেকে নিজে যেমন বিরত থাকে যেন অন্যকে বিরত থাকতেও অনুপ্রাণিত করে। মূল্যবোধ সরাসরি ভাবে অবস্তুগত সংস্কৃতির অংশ।

অবস্তুগত সংস্কৃতি একটি সমাজের পরিচয় বহন করে এবং এর সদস্যদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলে। 

সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য কি কি

সংস্কৃতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি

সংস্কৃতির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো: 

১. অর্জিত বৈশিষ্ট্য

সংস্কৃতি জন্মগত নয়, এটি মানুষ সমাজ থেকে অর্জন করে। জন্মের পর পরিবারের মানুষের আচার-আচরণ পরবর্তীতে সমাজের আচার-আচরণ থেকে মানুষ চেয়ে বৈশিষ্ট্য অর্জন করে তা সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। বড় হওয়ার সাথে সাথে মানুষেরই বৈশিষ্ট্যের উন্নতি ঘটতে থাকে।

২. সামাজিক ঐতিহ্য

সংস্কৃতি সমাজের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও রীতিনীতির প্রতিফলন। এটি একটি সামাজিক ঐতিহ্য যা সমাজ থেকে সৃষ্টি হয় এবং সমাজের মাধ্যমেই এর নিষ্কলন ঘটে। সামাজিক ঐতিহ্য সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য।

৩. প্রতীকী যোগাযোগ

সংস্কৃতির ভাষা, আচার-অনুষ্ঠান, পোশাক – এসবই বিভিন্ন ধারণা ও ভাবের প্রতীক। এগুলোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সংস্কৃতি মজবুত হয় যা পুরোপুরিভাবে সংস্কৃতির অংশ।

৪. গতিশীলতা

সংস্কৃতি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। দশ বছর আগের সংস্কৃতির সাথে বর্তমানে সংস্কৃতি মিল থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সংস্কৃতি কয়েক বছর পরপরই কিছুটা করে পরিবর্তিত হতে থাকে তাই সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য সর্বদা গতিশীল। 

৫. সাংস্কৃতিক ভিন্নতা

বিভিন্ন সমাজের সংস্কৃতিতে ভিন্নতা দেখা যায়। আপনার সমাজের সংস্কৃতির সাথে অন্য সমাজের সংস্কৃতি বিস্তার পার্থক্য থাকবে আবার কোথাও কোথাও মিল থাকবে। তবে প্রত্যেক সংস্কৃতির সাথে অন্য সংস্কৃতির ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক যা সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। 

৬. বিশ্বাস ও মূল্যবোধ

একটি সমাজের মানুষের মধ্যে কিছু মৌলিক বিশ্বাস ও মূল্যবোধ থাকে যা তাদের সংস্কৃতিতে প্রতিফলিত হয়।

৭. আচরণগত বৈশিষ্ট্য

সংস্কৃতি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আচার -আচরণকে প্রভাবিত করে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি যেহেতু আলাদা তাই সেখানে আচরণগত পরিবর্তন থাকবে এটা স্বাভাবিক। এই আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য তৈরি হয়। 

৮. সমস্যা সমাধান

সংস্কৃতি মানুষকে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় আবার সেই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সংস্কৃতি কাজ করে থাকে যা সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য।

সংস্কৃতির উপাদান গুলো কি কি

সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে রয়েছে: 

  • জ্ঞান, 
  • বিশ্বাস, 
  • ভাষা, 
  • শিল্পকলা, 
  • প্রযুক্তি।

সংস্কৃতির প্রত্যেকটি উপাদান একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। একটি সমাজের সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণরূপ প্রদান করে সংস্কৃতির উপাদান।

সংস্কৃতি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর

১) বাঙালি সংস্কৃতির দুটি উপাদানের নাম কি?

উঃ বাঙালি সংস্কৃতি দুইটি উপাদানের নাম হল ভাষা ও পোশাক।

২)সংস্কৃতির ১০ টি উপাদান কি কি?

উঃ সংস্কৃতির দশটি উপাদান হল: ভূগোল, ভাষা, পরিবার, FCTS (খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, আশ্রয়), অর্থনীতি, শিক্ষা, রাজনীতি, প্রযুক্তি, VBR (মূল্যবোধ, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান) এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি।

৩)সংস্কৃতি ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কি?

উঃ সমাজ বলতে বোঝায় একটি স্থানে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। সংস্কৃত বলতে বোধহয় সমাজে পাওয়া রীতিনীতি এবং সামাজিক আচরণ যেমন প্রথা, অভ্যাস, বিশ্বাস এবং আইন।

📌 আরো পড়ুন 👇

সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের মতামত

প্রত্যেকটি সমাজ টিকে থাকে সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। আজকের আর্টিকেলে আমরা সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনাদের আর কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং এরকম তথ্যগুলো আর্টিকেল পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

আমি আসিফ আহমেদ। ২০২২ সাল থেকে আমি ব্লগিং নিয়ে চর্চা করছি। সকলের মাঝে জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেয়ার অনুপ্রেরণা থেকে আর্টিকেল লেখা।

Leave a Comment